বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন

নড়াইলে ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি প্রকাশে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

নড়াইল প্রতিনিধি::

ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি প্রকাশের পর নড়াইলের লোহাগড়ায় দশম শ্রেণির ছাত্রী লায়লা খানম আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকালে ঘরের মধ্যে আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। লায়লা লোহাগড়ার ইতনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

এদিকে লায়লার মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার মা বাদী হয়ে লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ধলইতলা গ্রামের আব্দুল হাকিম মুন্সীসহ তার বাবা গোলাপ মুন্সী ও ভাই লালু মুন্সীকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে অভিযুক্ত হাকিমদের বাড়ির সবাই পালিয়েছে।

লায়লার মা মঞ্জু বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ঘরের মধ্য থেকে তার মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন তারা। এরপর টেবিলের ওপর থেকে তার মায়ের উদ্দেশ্যে লেখা একটি চিঠি উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। চিঠিতে স্কুলছাত্রী লায়লা লিখেছে-মা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। প্রিয় মা, আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও। আমার জন্য তোমাকে নানান মানুষ নানান কথা বলছে। শুধু আমার একটি ভুলের জন্য তোমাকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে….।

লায়লার চাচা চান্দু শেখ জানান, প্রতিবেশি সৌদি প্রবাসী আব্দুল হাকিম মুন্সী সম্প্রতি দেশে আসার পর লায়লার সাথে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। বিয়ের প্রলোভনে তারা দু’জনে অন্তরঙ্গ ছবি তোলে। এরপর মাসখানেক আগে হাকিম সৌদি আরবে চলে যায়। সেখানে (সৌদি আরব) গিয়ে লায়লার অন্তরঙ্গ ছবিগুলো ৩১ মার্চ ফেসবুকে প্রকাশ করে হাকিম মুন্সী। এসব অন্তরঙ্গ ছবি গ্রামের বিভিন্ন পেশার মানুষের নজরে আসার পর কয়েকদিন ধরে লায়লাকে নিয়ে সমাজে নানা ধরণের কটূক্তি চলতে থাকে। এক পর্যায়ে লজ্জা, ক্ষোভ ও অভিমানে স্কুলছাত্রী লায়লা বৃহস্পতিবার সকালে আত্মহত্যা করে।

এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, লায়লার ময়নাতদন্ত নড়াইল সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় লায়লার মা বাদি হয়ে হাকিমকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com